মারকাযুন নূর ইসলামিয়া মাদ্রাসায় আপনাকে স্বাগতম 
                    
                    
                      মারকাযুন নূর ইসলামিয়া মাদ্রাসা একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ও সম্মানিত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা ঢাকা
                      জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার মধ্যের চর এলাকায় অবস্থিত। এটি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অল্প সময়ের
                      মধ্যেই দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও মুহতামিম হলেন
                      মাওলানা মুফতী মুনির হুসাইন সাহেব, যিনি ইসলামী শিক্ষা প্রসারে নিবেদিতপ্রাণ ও দূরদর্শী এক আলেম।
                    
                    
                      এই মাদ্রাসায় ছাত্র ও ছাত্রী—উভয়ের জন্যই পৃথকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। এখানে চারটি
                      প্রধান বিভাগ রয়েছে: নূরানী, নাযেরা, হেফজ এবং কিতাব বিভাগ। নূরানী বিভাগে শিশুদের কুরআন শিক্ষার
                      প্রাথমিক ভিত্তি তৈরি করা হয়। নাযেরা বিভাগে সহিহভাবে কুরআন তিলাওয়াত শেখানো হয়। হেফজ বিভাগে পবিত্র
                      কুরআন মুখস্থ করানো হয় এবং কিতাব বিভাগে উচ্চতর ইসলামি শিক্ষা যেমন কুরআন, হাদীস, ফিকহ ইত্যাদি বিষয়ের
                      পাঠদান করা হয়। প্রতিটি বিভাগে দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাঠদান করেন।
                    
                    
                      মাদ্রাসার অধীনে ছাত্রদের পাশাপাশি ছাত্রীদের জন্যও রয়েছে পৃথক শাখা। বালিকা শাখায় বর্তমানে ৯০ জন
                      ছাত্রী অধ্যয়নরত রয়েছে এবং সেখানে ৮ জন অভিজ্ঞ শিক্ষিকা পাঠদানে নিয়োজিত রয়েছেন। ছাত্রীদের জন্য একটি
                      নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ এবং ইসলামি পরিবেশে শিক্ষা প্রদান নিশ্চিত করা হয়েছে, যা তাদের নৈতিক, চারিত্রিক
                      ও ধর্মীয় গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
                    
                    
                      ঠিকানা:
                      মারকাযুন নূর ইসলামিয়া মাদ্রাসা
                      মধ্যের চর, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।
                      যোগাযোগ: ০১৭২৭-৮৭৩৫৬৭
                    
                    
                      উপসংহার:
                      মারকাযুন নূর ইসলামিয়া মাদ্রাসা একটি আদর্শ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসলামের সঠিক
                      শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও সম্প্রসারণে প্রশংসনীয় অবদান রাখছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইসলামী জ্ঞানে গড়ে
                      তোলার এ মহতী প্রচেষ্টা আমাদের সমাজে নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
                      রাখবে। এমন প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা ও দোয়ার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে আমরা সবাই সচেষ্ট থাকব—এটাই কাম্য।